প্রথমে আপনি যে বিষয়টি নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, সে বিষয়ে মোটামুটি পারদর্শী হতে হবে। আপনি যদি কয়েকটি বিষয়ে দক্ষ হতে পারেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি বেশি কাজ পাবেন। এই প্ল্যাটফর্মে বেশিরভাগ ক্লায়েন্টই অবাঙ্গালী হয়ে থাকেন। তাই তাদের সাথে কমিউনিকেট করার জন্যে ইংরেজি ভাষাটা বেশ ভালোভাবে রপ্ত করতে হবে।
কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
Freelancer হিসেবে ক্যারিয়ার তৈরি করে কাজ শুরু করার জন্য আপনাকে একদম শুরু থেকে স্টেপ বাই স্টেপ কাজ করতে হবে। একটি বিশেষ কাজ বা স্কিল এর খোজ করতে হবে, যেটাতে আপনি পারদর্শী হতে চান।
ইংরেজীতে কথা বলার বা কমিউনিকেশন করার অভ্যাস করতে হবে। নিজের একটি ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট তৈরি করতে হবে। কাজের বিনিময়ে কত টাকা নিবেন সেটা ঠিক করতে হবে।
আপনার জন্য উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করুন
ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে নানা ধরণের কাজ করা যায়। এই প্ল্যাটফর্মে মোটামুটি সহজ এবং কঠিন দুই ধরনের কাজই পাওয়া যায়।
সহজ কাজের মধ্যে পড়ে ডাটা এন্ট্রি, আর্টিকেল রাইটিং এর মতো কাজ, যেসব কাজের জন্য প্রচুর পরিমাণে বিড আসে যার কারনে এই কাজ গুলো পেতে অনেকটা বেগ পেতে হয় এবং প্রতিযোগিতাও বেশি থাকে।
আর কঠিন কাজের মধ্যে আছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের মতো উন্নত মানের ব্যয়বহুল কাজ। যেগুলোতে পারিশ্রমিকও বেশি থাকে। এখন আপনাকে ডিসিশন নিতে হবে আপনি ফ্রিল্যান্সিং এ কোন ধরণের কাজ করবেন?
প্রশিক্ষন নিতে যা যা প্রয়োজন
প্রশিক্ষণ নেয়ার জন্য সবচেয়ে প্রথম যেটার প্রয়োজন তা হলো ধৈর্য। ধৈর্য ছাড়া কখনোই আপনি এই প্ল্যাটফর্মে টিকে থাকতে পারবেন না। আমাদের দেশে মোটামুটি অনেক ধরনের ফ্রিল্যান্সিং সেবাদান কারী প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে যারা কোচিং করানোর মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের কোর্সের দ্বারা প্রশিক্ষন দিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে কোচিং এর মাধ্যমে আপনার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে পারেন। আপনাকে রেগুলার প্র্যাক্টিস করার জন্য একটা ভালো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার এর প্রয়োজন পড়বে, তার সাথে ইন্টারনেট কানেকশান।
কাজ শেখার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বেসিক কম্পিউটার জানা জরুরী, সাথে ইংরেজীতে কথা বলার দক্ষতাটাও। যে বিষয়ে দক্ষ হতে চান সে বিষয়ে কঠোর মনোযোগী হতে হবে এবং লেগে থাকার মন মানসিকতা তৈরি করে নিতে হবে।
আপনি যা যা শিখেছেন এবং করেছেন তা আপনার পর্টফলিও তে অন্তর্ভুক্ত করে রাখবেন, মার্কেটপ্লেস গুলো সম্পর্কে ধারনা অর্জন করবেন, নিয়মানুবর্তিতা মেনে চলবেন এবং সময়ের কাজ সময়ে করবেন।
অভিজ্ঞতা অর্জনের উদ্দেশ্যে কাজ করুন
ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে আপনার পথটা সুগম নাও হতে পারে। কিন্তু তাই বলে থেমে গেলে চলবে না। জীবনে যেমন নানা রকম সমস্যা, যন্ত্রণা, বিপদাপদের সময় আসে ঠিক তেমনি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রেও তাই।
প্রথমে হয়তোবা আপনার জন্য কাজের অফার আসবে না কিংবা আশানুরুপ অনুযায়ী ফল পাবেন না।
তাই বলে ধৈর্যহারা হলে চলবে না, নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত করতে হবে। কারন আপনি আপনার অভিজ্ঞতা অর্জনের প্রথম ধাপে আছেন।
আপনি নিজেকে শুধু একজন ফ্রিল্যান্সার না ভেবে একজন ছাত্র ভাবুন যার প্রয়োজন অভিজ্ঞতার, টাকার নয়। তাই কার্যক্ষেত্রে ভুল ত্রুটি হলে সেটার থেকে শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যা যা প্রয়োজন
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
অন্যকে কাজ শিখিয়ে বেকারত্বের হার কমাতে পারেন
অন্যকে কাজ শিখিয়ে আয় করার পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদান রেখে বেকারত্বের হার কমাতে পারেন।
দিন দিন দেশের চাকুরীর বাজার অবনতির দিকে যাচ্ছে যার ফলে প্রতি বছরই বেকারের সংখ্যা বেড়েই চলছে। সরকারী চাকুরীর পিছনে দৌড়ে অনেক যুবক তাদের সর্বশ্ব খোয়িছেছে, হারিয়েছে তাদের জীবনের মুল্যবান সময়।
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্থায়ী ভাবে নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে আপনি ঐসব যুবকদের কাজ শিখিয়ে আপনার একটা টীম বানিয়ে কাজ করতে পারেন।
এতে করে আপনি লক্ষ লক্ষ যুবকের কর্মসংস্থান তৈরিতে সাহায্য করতে পারবেন সাথে আপনার আয়ও বৃদ্ধি করতে পারবেন।