ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যা যা প্রয়োজন - Bhairab IT Zone

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য অবশ্যই কিছু বেসিক স্কিল এর অধিকারী হতে হবে। যেমন- ভালো কম্পিউটার, ইন্টারনেট ও ব্রাউজিং সম্পর্কে ভালো ধারণা থাকতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিদেশি বায়াররা হায়ার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে ইংলিশে কথা বলার দক্ষতা থাকতে হবে, চ্যাটিংয়ের সময় ভালো মানের ইংরেজি  লিখতে জানতে হবে এবং প্রতিনিয়ত ইংরেজিতে কথা বলার অনুশীলন চালিয়ে যেতে হবে।

ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ পাওয়া যায় কিভাবে?

ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ করা মানেই হলো অন্যান্য ব্যক্তি বা কোম্পনির কাছে চুক্তিবদ্ধ হওয়া এবং চুক্তি হিসেবে কাজ করা। আর এই কাজ করার জন্য freelancing এর ব্যাপারে আপনার মধ্যে কিছু বিশেষ ক্রিয়েটিভিটি থাকতেই হবে, যেগুলো আপনি সার্ভিস হিসেবে ক্লাইন্টদের কাছে বিক্রি করতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সার হতে চান?

আপনি যেভাবে কাজ পেতে পারেনঃ

  • প্রথমেই আপনাকে একটা ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্ম নির্বাচন করতে হবে যেখান থেকে আপনি কাজ করতে চান বা ইচ্ছুক।
  • কোন ক্যাটাগরিতে কাজ করে আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে ইচ্ছুক সেটা ঠিক করুন।
  • তারপর সেখানে একাউন্ট খুলে আপনি আপনার পোর্টফলিও এড করুন এবং একটি ব্লগের মাধ্যমে সেটা পোস্ট করে দিন।
  • Linkedin, Pinterest, Twitter – এ ও আপনি আপনার দক্ষতার প্রচারনা চালিয়ে কাজ পেতে পারেন।
  • বিভিন্ন যে জব ফোরাম (Upwork, Fiverr) এর মতো আরও অন্যান্য যে ফোরামগুলো আছে সেখানে আপনার দক্ষতানুযায়ী কাজের খোঁজ করুন।

এই উপরোক্ত কাজ গুলো করলে আপনি আপনার চাহিদা মোতাবেক কাজ পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।

যেভাবে কাজ কমপ্লিট করবেনঃ

  • যখন আপনি আপনার প্রথম কাজ পাবেন, তখন খুব সাবধানতার সাথে নির্ভুলভাবে কাজটি সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন।
  • কোনো জায়গায় কনফিউশন থাকলে সাথে সাথে ক্লান্টকে নক করে সে বিষয়ে জানিয়ে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন।
  • নিজে থেকে কোনো কিছু এড বা চেইঞ্জ করতে যাবেন না যদিনা ক্লাইন্ট আপনাকে সেটা করতে বলে।
  • নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ কমপ্লিট করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন।

উপরোক্ত পদক্ষেপের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করলে ক্লাইন্ট খুশি হয়ে আপনাকে ফাইভ স্টার রেটিং দিয়ে যাবে এবং পরবর্তীতে আরও কাজ দেয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন ধরণের কাজ করবেন?

ভালো ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু নীতিমালাঃ

  • সময় ভাগ করে নেওয়াঃ আপনি কখন কোন কাজ করবেন তার জন্য একটা টাইম টেবিল তৈরি করে রাখতে পারেন। যেমন – সকালের সময় টা আপনি বিভিন্ন রকম প্র্যাক্টিসের জন্য রাখতে পারেন, দুপুরের সময়টা স্টাডি বা অন্যান্য রিসার্চের জন্য রাখতে পারেন এবং রাতের সময়টা কাজের জন্য রাখতে পারেন। এতে আপনার উপর চাপ কম পড়বে।
  • সময়মত খাবার খাওয়াঃ খাবারের বেলায় কখনো অনিয়ম করবেন না, যদি করেন তাহলে আপনি খুব তাড়াতাড়িই অসুস্থ হয়ে পড়বেন। আর অসুস্থ হয়ে পড়লে কাজও করতে পারবেন না। ফলে আপনি শারীরিক ও আর্থিক দুই দিক দিয়েই ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। তাই সময় মত খাবার খেতে হবে। আর মনে রাখবেন, “আগে খাবার তারপর কাজ”।
  • একাকিত্বকে আপন করবেন নাঃ যারা ফ্রিল্যান্সিং করে তাদের বেশির ভাগ সময়ই একা থাকতে হয়। যার ফলে তারা সবাইকে সময় দিতে পারে না এবং একাকীত্বকেই আপন করে নেয়। আপনি কিন্তু এই ভুল কখনোই করবেন না। আপনি আপনার কাজের বাইরেও নিজের জন্য সময় বের করে নিবেন যে সময়টাতে আপনি পরিবার কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে গল্প গুজব কাটাতে পারেন।
  • রুটীন মাফিক চলার অভ্যাসঃ যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই রুটিন ফলো করে কাজ করলে সেই কাজে কখনো ভুল হয় না, হলেও তার পরিমান খুবই কম। আপনি যে কাজই কারুন না কেন তার জন্য যদি সঠিক দিক নির্দেশনা আগে থেকেই ঠিক না করে থাকেন তাহলে আপনি পদে পদে ভুল করবেন। তাই একটি কাজের সফল ফলাফল পেতে আপনাকে অবশ্যই রুটিনের মধ্যে আসতে হবে।
  • সব সময় সচেতন থাকুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার সময় সব সময় সতর্ক থাকতে হয়। কারন ফ্রিল্যান্সিং কাজে যেমন আয় বেশি তেমনি ঝুঁকিও বেশি। যেমনঃ একাউন্ট ব্যান হয়ে যাওয়া, হ্যাকারদের নজরে পড়া, অসাধু ক্লাইন্টদের থেকে প্রতারিত হওয়া, পেমেন্টের সময় ঝামেলা হওয়া, কপিরাইটের ঝামেলায় পড়া, স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া ইত্যাদি। তাই এসকল ঝুকি এড়াতে সব সময় ক্লাইন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে সচেতন হোন, কাজ নির্ধারণের ক্ষেত্রেও সচেতন হোন, পোস্টের ক্ষেত্রে মৌলিক কন্টেন্ট গুলো বাছাই করুন, একাউন্টের ক্ষেত্রে ব্যাক-আপ প্ল্যান রাখুন এবং আরো অন্যান্য ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ?

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন লাগে?

যেভাবে আপনার কাজের পরিমাণ বাড়াবেনঃ

  • কাজের দক্ষতা বাড়ান, কাজের প্রকৃতিকে আকর্ষণীয় এবং নির্ভুলভাবে উপস্থাপন করুন। কাজের মানই আপনাকে অতিরিক্ত কাজ পেতে সাহায্য করবে।
  • কাজের ক্ষেত্রে ক্লাইন্টকে খুশি করার বিষয়টাকেই মুখ্য বলে মনে করতে হবে।
  • চাইলে ক্লাইন্ট যতোটুকু কাজ করতে বলেছেন আপনি তার চেয়ে একটু বেশি সার্ভিস দিলেন কোনো রকম চার্জ ছাড়াই। আর আপনাকে ফাইভ স্টার রেটিং দিতে অনুরোধ করতে পারেন।
  • বাড়তি সার্ভিস পেয়ে ক্লাইন্ট আপনার প্রতি খুশি হয়ে আরোও নতুন কাজের প্রস্তাবও করতে পারে।
  • কখনোই আপনার কাজের বা সার্ভিসের মূল্য অতিরিক্ত করবেন না, যতক্ষণ না আপনি ঐ মার্কেটপ্লেসে পপুলার একজন ফ্রিল্যান্সার হচ্ছেন।