মার্কেটিং যেভাবে করবেন
একমাত্র সফল মার্কেটিং ই পারে বেশি বেশি কাজের প্রস্তাব নিয়ে আসতে। আপনার কাজের প্রচারনা চালানোর জন্য প্রথমেই আপনাকে সবরকম সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি করে ব্যবসায়িক পেজ বা একাউন্ট খুলতে হবে। যেখানে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে সব ধরণের ডিটেইলস দেয়া থাকবে।
যেমনঃ পণ্য বা সেবার তালিকা, ছবি, কি ধরণের সার্ভিস পাওয়া যাবে, পণ্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষেত্রে কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী কেমন অফার দেয়া হবে ইত্যাদি। উপরোক্ত তথ্যাদি সঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনাকে আপনার পেজ/একাউন্ট টিকে সুন্দরভাবে সাজাতে হবে। যাতে ক্লাইন্টরা আপনার পোস্ট/একাউন্ট/সার্ভিস এর প্রতি আকৃষ্ট হয়।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন?
যে যে সোশ্যাল সাইটগুলোতে আপনি মার্কেটিং করতে পারেনঃ
- ফেসবুক
- ইনস্টাগ্রাম
- ট্যুইটার
- পিন্টারেস্ট
ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ স্থাপন
এমনিতে সাধারণত আপনি ক্লাইন্টের কাজের বর্ণনা দেখে ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করবেন, কিন্তু আপনি যদি চান যে ক্লাইন্ট আপনার সাথে যোগাযোগ করবে, সেটাও কিন্তু সম্ভব।
কিন্তু তার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পরিচিতি বাড়াতে হবে যাতে ক্লাইন্ট আপনার কাজ দেখে আকৃষ্ট হয় এবং আপনার সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে।
যেভাবে ক্লাইন্টদের আকৃষ্ট করবেনঃ
- প্রফেশনালদের মতো প্রোফাইল তৈরি করুন,
- আগের এবং অন্যান্য ক্লাইন্টদের সাথে যোগাযোগ রাখুন,
- পরিচিত সবার সাথে যোগাযোগ রাখুন,
- বেশি বেশি পোস্ট এবং ই বুক লিখুন,
- সেবামূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত থাকুন এবং নতুন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এ কোন ধরণের কাজ করবেন?
ফ্রিল্যান্সিং এ বড় কাজ এবং ছোট কাজঃ
ফ্রিল্যান্সিং এর তালিকায় সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন কাজের মধ্যে স্থান পেয়েছে ডেটা অ্যানালিটিক্স, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মাইক্রোসফট অফিস, কপি টাইপিং, ট্রান্সক্রিপশন, রাশিয়ান ট্রান্সলেশন, বুককিপিং, ই-মেইল হ্যান্ডেলিং ও কাস্টমার সাপোর্ট।
এখানে ছোট বড় সব ধরণের কাজের কথা ই উল্লেখ আছে, যাঁদের এ ধরনের কাজে দক্ষতা আছে, তাঁরা চাইলে ফ্রিল্যান্সিং ক্ষেত্রে ভালো করতে পারেন।
বড় কাজ এবং ছোট কাজ করার কিছু সুবিধাসমূহঃ
- বড় কাজগুলো সাধারণত দীর্ঘস্থায়ী হয় যার ফলে একটা কাজ শেষ করতে অনেক দিন লেগে যায় বিধায় অন্য কাজ খোঁজার প্রয়োজন পড়ে না। আর অন্যদিকে ছোট কোম্পানিতে ছোট কাজ করেও এগিয়ে যাওয়া যায়, কারন এই ছোট কোম্পানিও একদিন বড় হবে। তখন উক্ত কোম্পানির সাথে থেকে কাজ করার জন্যও অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া যায়।
- বড় কোম্পানিতে বড় কাজ পাওয়া কঠিন হলেও টাকা বেশি পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকে। আর ছোট কাজে পারিশ্রমিক কম পাওয়া গেলেও ছোট কোম্পানিতে সহজেই একাধিক কাজ পাওয়া যায়।
- বড় কোম্পানিতে কাজ করেছেন এই কথাটা আপনার পরিচিতির সাথে ব্যবহার করে অন্যান্য ছোট কিংবা বড় কোম্পানিতে কাজ পাওয়ার জন্য নিজের যোগ্যতার প্রমান দিতে হয়না। আর ছোট কোম্পানির ক্ষেত্রে নিজের কাজের যোগ্যতা প্রমানের জন্য নিজেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন, যেখানে বড় কোম্পানিতে যারা সিদ্ধান্ত নেন তাদের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা কঠিন।
- একজন ফ্রিল্যান্সারের সর্বদা লক্ষ্য থাকে বেশি মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া। যদিও বড় কোম্পানিতে কাজ করাকালীন সেটা সম্ভব হয় না, কারন বড় কোম্পানির বড় বড় কাজগুলো পরিকল্পিত এবং নির্ধারিত থাকে বিধায় কাজ করা সহজ হলেও যে যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকার ফলে সবার মধ্যে পরিচিতি গড়ে উঠে না। আর অন্যদিকে ছোট কোম্পানিতে ছোট ছোট কাজ করার মাধ্যমে পরিশ্রম বেশি হলেও অনেকের সাথে পরিচিতি হয়ে যায় যাদের মাধ্যমে আরো কাজ পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য কোন ল্যাপটপ ভালো ?
ব্লগ ও সোশ্যাল সাইটের ব্যবহার
ফ্রিল্যান্সাররা নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য সব সময়ই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং তথা মার্কেটিং এর উপর গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। কারন ব্লগ এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এর সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি নিজেদের চাহিদা মোতাবেক কাজ এবং সমস্যার সমাধান বের করা যায়।
উক্ত মাধ্যমটির সঠিক ও যথাযথ ব্যবহার করতে পারলে এটাও হয়ে উঠতে পারে আপনার জন্য আরেকটি আয়ের মাধ্যম। যদিও অনেকের কাছে ব্লগিং প্রধান আয়ের উৎস।
অনেকেই এটাকে পেশা হিসেবে নিয়েছে। এটার মাধ্যমে আপনি অন্যের কাজের প্রতি স্বাধীনভাবে মন্তব্য করতে পারেন এবং অন্যজনও আপনার কাজের প্রতি মন্তব্য করতে পারে এমনকি কোনো ভুল ভ্রান্তি হলে দেখিয়ে দিয়ে সাহায্যও করতে পারে।
অর্থাৎ ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্রে বা একজন ফ্রিল্যান্সারের জন্য ব্লগ ও সোশ্যাল সাইটের ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।