ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার কথা ভাবছেন, কিন্তু কোথা থেকে বা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন জানেন না ?
তাহলে এই দিক নির্দেশনাগুলো আপনার জন্যই।
যারা নতুন এবং ফ্রিল্যান্সিং করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য একটি চূড়ান্ত নির্দেশিকা হিসেবে আমি এই আর্টিকেলটি লিখেছি।
আপনি একজন লেখক, গ্রাফিক ডিজাইনার বা ওয়েব ডেভেলপার যা হিসাবেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চান না কেন, এই নির্দেশিকাগুলো আপনাকে 10টি সহজ ধাপে যাত্রা শুরু করতে সাহায্য করবে।
বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়ার আগে, আপনার কয়েকটি বিষয়ে স্পষ্ট ধারনা থাকা খুব জরুরি।
ফ্রিল্যান্সিং কে অনেকে যতটা সহজ মনে করে বাস্তবে ফ্রিল্যান্সিং তার চেয়ে অনেক বেশি জটিল। কিছু কিছু লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে, যে কেউ একটি ল্যাপটপ এবং ইন্টারনেটের কানেকশন ব্যবহার করে অনলাইনে অর্থ উপার্জন করতে পারে৷ কিন্তু প্রকৃত পক্ষে ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে এটা একটি ভ্রান্ত ধারনা।
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হওয়ার এবং আর্থিক স্বাধীনতা খোঁজার বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে ইচ্ছুক হন, তবেই পড়া চালিয়ে যান।
তাহলে, চলুন শুরু করা যাক…
ধাপ ১ – সঠিক সরঞ্জামের যোগান
আপনি যখন ভীষনভাবে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত থাকেন বা কোনো কিছু নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন এমতাবস্তায় কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেবেন না।
কারন ওই সময় আপনি যা ই সিদ্ধান্ত নিবেন তা আপনার জন্য ফলপ্রসূ হবে না বা আপনার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
এবং ঠিক এই কারণেই আমি আপনাকে সবসময় পরামর্শ দিব যে আর্থিক টানাপোড়নে পড়ে দ্রুত অর্থ উপার্জন করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং শুরু করবেন না।
ফ্রিল্যান্সিং করলেই রাতারাতি বা দিন কয়েকের মধ্যেই কেউ ধনী হয়ে যায় না। এর জন্য অনেক পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। বাস্তবিক অর্থে বলতে গেলে, একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে স্থির আয় করতে আমার প্রায় 4 বছর লেগেছে।
কিন্তু, সৌভাগ্যবশত টেকনিক্যালের দিক দিয়ে এবং সময় বাঁচানোর দিক দিয়েও আজ আপনাদের কাছে আমার আগের চেয়ে অনেক বেশি সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
আমি প্রায়ই ফ্রিল্যান্সার হতে চাওয়া লোকদের কাছ থেকে প্রশ্ন পাই যে, তারা শুধু মোবাইলের ব্যবহারের মাধ্যমে কাজ করতে পারবে কিনা?
তার দ্রুত উত্তর হল “না”।
অন্তত এমন কোনো কাজ নেই যা মোবাইলের দ্বারা করার যোগ্য।
কারন স্মার্টফোনের অ্যাপের এবং ফিচারের সংখ্যা সীমিত। সঠিকভাবে কাজ করার জন্য, দুর্দান্ত ফলাফল পাওয়ার জন্য এবং প্রয়োজনীয় সফ্টওয়্যার চালানোর জন্য আপনার একটি কম্পিউটার প্রয়োজন।
সুতরাং, সবকিছু সুন্দরভাবে শুরু করতে চাইলে এবং অনলাইনে কাজ করার কথা মাথায় আসলে, একটি ভালো মানের ল্যাপটপ বা অন্তত একটি পুরানো কম্পিউটারের কোনো বিকল্প নেই।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং শিখতে কতদিন লাগে?
ধাপ ২ – মার্কেটিং করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন
পরবর্তী এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপটি হল, এমন একটি দক্ষতায় দক্ষতা অর্জন করা যা আপনি সার্ভিস হিসেবে অফার করতে পারেন ।
গ্রাফিক্স বা ওয়েব ডিজাইনিং করার মতো সহজ বা একটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপের মতো উন্নত ধরনের কিছু হতে পারে।
যাই হোক না কেন, ফ্রিল্যান্সিং জগতে জয়ের মূল চাবিকাঠি হল এমন একটি দক্ষতা খুঁজে বের করা যেটাতে আপনি খুব ভালো এবং মার্কেটপ্লেসে এটার যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, আপনি যদি ইনফোগ্রাফিক্স বা পণ্যের প্যাকেজিং ডিজাইন করতে পারদর্শী হন, তাহলে UpWork বা Freelancer-এর মতো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে যান এবং সেই ধরনের কাজের জন্য চাকরি আছে কিনা তা খুঁজে দেখুন।
আপনার দক্ষতানুযায়ী যদি সেই সাইটগুলিতে পর্যাপ্ত চাকরির তালিকা থাকে, তাহলে আপনি স্বর্ণ পেয়ে গেছেন।
ধাপ ৩ – দক্ষতার উন্নতি ঘটান
যখন আপনি মার্কেটিং করার মতো কোনো কিছুতে এক্সপার্ট হয়ে যাবেন, তখন আপনি এটাকে সার্ভিস হিসেবে অফার করতে পারেন।
সহজ কথায়, আপনি যদি মনে করেন যে, আপনাকে আপনার কাজের জন্য অর্থ প্রদান করা উচিত। তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার কাজে ভালো হতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ ধরা যাক, আপনি ক্রীড়া ও খেলাধুলা ব্লগের জন্য একজন ফ্রিল্যান্স রাইটার হতে চান। এই বিভাগে ভালো চাহিদাও রয়েছে। আর আপনার স্কুল বা কলেজে এটার সম্পর্কে লেখালিখি করার অভিজ্ঞতাও আছে।
যাইহোক, এর মানে এই নয় যে আপনি অনলাইন দর্শকদের জন্য ব্লগ পোস্ট লিখতে পারেন। ব্লগ এবং অনলাইন পাব্লিকেশন্সের জন্য আলাদা বা ভিন্ন ধরনের স্টাইল ও ফরমেটে লিখতে হয়। যা মূলত সাধারণ দর্শকদের আকর্ষণ করার জন্য।
তাই এখন আপনার দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও আপনাকে অনলাইন দর্শকদের জন্য কিভাবে ব্লগ পোস্ট লিখতে হয় তা শিখতে হবে, ওয়ার্ডপ্রেস কিভাবে ব্যবহার করবেন তা শিখতে হবে, আর্টিকেলের জন্য গ্রাফিক্স তৈরি করা শিখতে হবে এবং আরো অনেক বেসিক কিছু ট্রীক্স আছে যেগু্লো সম্পর্কে ধারনা থাকতে হবে।
সব ধরনের ফ্রিল্যান্সিং দক্ষতার জন্য এই একই নিয়ম নীতিগুলো অনুসরণ করা উচিত। এমনকি বেসিক যে বিষয়গুলো আছে তা শেখার চেষ্টা না করে আপনি আপনার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারবেন না। আপনাকে অবশ্যই প্রথমে আপনার দক্ষতাকে পোলিশ-আপ করতে হবে।
তার জন্য বই পড়তে পারেন, এই বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত YouTube চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করতে পারেন এবং আপনার দক্ষতা এবং শিল্পের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য রাইটারদের ব্লগগুলি পড়তে পারেন।
কোনো একটি কাজে পুরোপুরি ভাবে দক্ষতা অর্জন করতে সময় লাগে। তাই ধৈর্য ধরে শিখতে থাকুন এবং অনুশীলন করুন।
ধাপ ৪ – আপনার খ্যাতি তৈরি করুন
আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হবেন কি না তা নির্ভর করে আপনার দক্ষতা, ধৈর্য, অধ্যাবসায় এবং কাজের কোয়ালিটির উপর।
আপনার উচ্চ ডিগ্রীসমুহ বা বহু বছরের অভিজ্ঞতা আছে কিনা তা্র কোনো কিছুই বিবেচনা করা হবে না যদিনা আপনি ক্লায়েন্টদের কাছে প্রমাণ করতে পারেন যে আপনি যে কাজ করেন তাতে আপনি দক্ষ।
ধরুন, আপনি যদি একজন লেখক হন, তাহলে আপনার জনপ্রিয় ব্লগের লিংক প্রকাশ করবেন এবং আপনার ক্লায়েন্ট কে তা চেক করার জন্য সাজেস্টও করতে পারেন।
আপনি যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হন, তাহলে আপনি পূর্বে কাজ করেছেন এমন একটি ব্র্যান্ডের নাম প্রকাশ করবেন এবং বলতে পারেন যে আপনি তাদের লোগো ডিজাইন করেছেন অথবা আপনি যদি একজন ওয়েব ডিজাইনার হয়ে থাকেন তবে আপনার ডিজাইন করা ওয়েবসাইটের একটি লিঙ্ক পাঠাতে পারেন।
সংক্ষেপে, আপনাকে প্রচুর মনোবল এবং আত্মবিশ্বাস অর্জন করতে হবে। যদি দরকার হয় প্রথমে কিছু কাজ ফ্রীতে করে দিন।
এমন কিছু ব্লগে ভিজিট করুন যেখানে নবীন রাইটারদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দেয়া হয় এবং গেস্ট পোস্ট একসেপ্ট করা হয়।
নিজের ডিজাইন গুলো নিজেই করার চেষ্টা করুন। যাই হোক না কেন, আপনার খ্যাতি তৈরিতে কাজ করা বন্ধ করবেন না।
ধাপ ৫ – আপনার একটি পোর্টফোলিও তৈরি করুন
আপনি যখন আপনার খ্যাতি বা সুনাম অর্জন করা শুরু করবেন, তখন আপনার সমস্ত প্রকাশিত/লাইভ কাজকে এক জায়গায় আনতে একটি পোর্টফোলিও তৈরি করবেন।
পোর্টফোলিওটি একটি ওয়েবসাই্টে বা একটি ওয়েবপেইজেও হতে পারে যেখানে আপনি আপনার সমস্ত কাজ প্রদর্শন করেন রাখবেন।
যেমন ধরুন, আপনি যদি একজন গ্রাফিক ডিজাইনার হন, তাহলে আপনি আপনার সমস্ত ডিজাইন দেখাতে Behance-এর মতো একটি সাইটের ন্যায় একটি পোর্টফোলিও পেইজ তৈরি করতে পারেন।
এইভাবে, আপনি যখন কোনো ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করবেন, তখন আপনার দক্ষতা যাচাই করতে তাদেরকে আপনার পোর্টফোলিওর লিঙ্কটি দিতে পারেন।
[বিঃদ্রঃ পোর্টফোলিওতে শুধুমাত্র আপনার সেরা কাজগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করুন।]
ধাপ ৬ – প্রথমে পার্ট-টাইম হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করার চেষ্টা করুন
ফ্রিল্যান্সিং সবার জন্য সহজ নয়। তাদের জন্যেই সহজ যারা প্রচন্ড আত্মবিশ্বাসী, অধ্যাবসায়ী, কর্মট এবং ধৈর্যশীল।
নিজের দক্ষতাগুলোকে মার্কেটিং করার, নিজের সার্ভিসগু্লোকে বিক্রি করার এবং ক্লায়েন্টদের সাথে ডিল করার প্রক্রিয়া বা পথগুলো সুগম নাও হতে পারে।
আপনি যদি নিশ্চিত হতে না পারেন যে, ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সঠিক ক্যারিয়ারের পথ কিনা, তবে এটাকে প্রথমে পার্ট-টাইম হিসেবে করার চেষ্টা করুন।
ছোট ছোট ফ্রিল্যান্স গিগগুলিতে কাজ করে প্রতিদিন কয়েক ঘন্টা ব্যয় করুন। এতে করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং-এর বিভিন্ন উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।
যখন আপনি উপলব্দী করতে পারবেন যে বড় প্রকল্পগুলি মোকাবেলা করার জন্য আপনি সম্পুরনভাবে প্রস্তুত, তখন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে আপনি ফুল-টাইমের জন্য ফ্রিল্যান্সিং করবেন নাকি আপনার দিনের চাকরি ছেড়ে দেবেন।
ধাপ ৭ – আপনার কাজের জন্য উপযুক্ত ফ্রিল্যান্স প্ল্যাটফর্ম খুঁজুন
আপনার জন্য কাঙ্ক্ষিত জব পাওয়া এবং ক্লাইন্টদের সাথে কাজ করাটা কতটা সহজ হবে তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে একটি সঠিক বা উপযুক্ত প্লাটফর্ম।
সাধারনত নবীণ ফ্রিল্যান্সাররা প্রথমে যে ভুলটি করে তা হল জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলোতে যোগদান করতে যায়। যেমনঃ UpWork বা Freelancer.com এর মত।
যেখানে এই সাইটগুলি ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ দক্ষ ফ্রিল্যান্সার দ্বারা পরিপূর্ণ। এবং তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে তারা বেশি বেশি কাজ পাওয়ার জন্য বিডিং যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
এবং ক্রমাগতভাবে তাদের দাম কমাতে থাকে সুনাম অর্জন করার লক্ষ্যে। তাই আমার মতে সর্বোত্তম পন্থা এবং পদ্ধতিটি হলো কাজ খোঁজার জন্য মোটামুটি নতুন একটি বাজার বাছাই করা এবং এতে যোগদান করা।
এতে কম ফ্রিল্যান্সার থাকবে তাই আপনার প্রতিযোগিতাও কম হবে। এবং এটি আপনার ল্যান্ডিং জবের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।
আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যা যা প্রয়োজন
ধাপ ৮ – সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন
আপনার সার্ভিসগুলির জন্য সঠিক মূল্য নির্ধারণ করা একটু চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। কারণ আপনি যদি অতিরিক্ত মূল্যের জন্য প্রস্তাব করে বসেন তাহলে, ক্লায়েন্টরা কখনই আপনাকে নিয়োগের কথা বিবেচনা করবে না।
তাই শুরুতে সঠিক মূল্য নির্ধারণের সর্বোত্তম উপায় হল পপুলার যেসব ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসগুলি আছে সেখানে যাওয়া এবং আপনার কাজের সাথে সম্পর্কিত অন্যান্য ফ্রিল্যান্সাররা কী চার্জ নিচ্ছে তা দেখা।
যদিও আপনি নতুন ফ্রীল্যান্সার হয়ে একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের মতো একই দাম নির্ধারণ করতে পারেন না। তবুও নিজের কাজের সাথে পারিশ্রমিকের সামঞ্জস্যতা বজায় রাখাটা জরুরী।
অথবা, আপনি একটি মোটামুটি লেভেলের প্লাটফর্ম খুঁজে বের করার চেষ্টা করবেন যেখানে আপনি নিজেকে সস্তা বলে মনে না করে অন্যান্য অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক পারিশ্রমিক দাবী করতে পারেন।
ধাপ ৯ – আপনার প্রথম কাজের প্রস্তাব পাঠান
একজন ক্লায়েন্টের কাছে যখন আপনি একটি প্রস্তাবনা লিখতে বসবেন তখন অনেকগুলো সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। এটি কোনো সাধারণ ইমেল লেখা বা সামাজিক মিডিয়াতে পোস্ট লেখার মত নয়।
আপনাকে এটার জন্য ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনা করতে হবে এবং অন্য সমস্ত ফ্রিল্যান্সারদের পরিবর্তে ক্লায়েন্ট কেন আপনাকেই নিয়োগ দিবে তার জন্য উপযুক্ত কারন দশাতে হবে অথবা ক্লাইন্টকে এই নিশ্চয়তা দিতে হবে যে তার কাজের জন্য আপনিই পারফেক্ট।
ধাপ ১০ – প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু দেয়ার চেষ্টা করুন
একবার যখন আপনি চাকরিটা পেয়ে যাবেন, তার পরবর্তী ধাপ হল এটা নিশ্চিত করা যে আপনার ক্লায়েন্ট আপনাকে যেভাবে করতে বলেছেন আপনি ঠিক সেইভাবেই প্রজেক্টটা কমপ্লিট করে ডেলিভারি করেছেন।
অথবা, এই ক্ষেত্রে, আমি পরামর্শ দিব যে আপনি ক্লায়েন্টের প্রত্যাশার থেকে বেশি কিছু দিয়ে কাজটি সাবমিট করে ক্লাইন্টকে খুশি করার চেষ্টা করতে পারেন।
আমি আপনাকে একটি বাস্তব উদাহরণ দিই, আমার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে, আমি যখন ১০০০ শব্দের মতো একটি ব্লগ রাই্টিং-এর জন্য চাকরি পেয়েছিলাম।
তখন আমি সেই ব্লগটি প্রায় ১১০০-১২০০ শব্দের মধ্যে লিখেছিলাম এবং এটা পোস্টের জন্য কিছু আলাদা আলাদা ক্যাপশন দিয়ে ইমেজ ও ডিজাইন করে দিয়েছিলাম। এর জন্য অতিরিক্ত কোনো চার্জ ছাড়াই।
ক্লায়েন্ট আমার কাজে এবং এক্সট্রা সার্ভিসে ভীষণ খুশি হয়েছিল।
অতঃপর 5-স্টার রেটিং দিয়ে ভবিষ্যতে আরো কাজ করানোর প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলো। তাই সর্বোপরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, ফ্রীল্যান্সিং জগতে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই আপনাকে ধৈর্যশীল, আত্মবিশ্বাসী, অধ্যাবসায়ী এবং কঠোর পরিশ্রমী হতে হবে।
এমন কাজ করার উপায় খুঁজতে হবে যা সবসময় আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। তীব্র প্রতিযোগিতার ভিড়ের মধ্যে দাঁড়াতে শিখতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হিসেবে স্থায়ী ক্যারিয়ার গড়ার এটাই একমাত্র উপায়।