কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় - Bhairab IT Zone

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

অনলাইন জগতে সোশ্যাল প্লাটফর্ম হিসেবে যে মাধ্যমটি পুরো বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে তার নাম হলো ফেসবুক। এখানে ২.৩২ বিলিয়ন মানুষ রোজ ফেসবুক ফিড স্ক্রোল করে থাকেন।

আমরা যারা ফেসবুক ইউজার তারা প্রায় প্রতিদিনই কিছুক্ষণ পর পর একবার করে হলেও ফেসবুকে ঢু মারি। পোস্ট করি, মিম দেখি, রিয়েক্ট করি, শেয়ার করি এবং বন্ধু বান্ধবদের সাথে চ্যাটিং এ আড্ডাও দেই।   

কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে ফেসবুকে এসব ‘লাইক-কমেন্ট-শেয়ার’ করার মাধ্যমেও আয় করা যায়। এখান থেকে আপনি চাইলেই নিজের জন্য আয়ের একটা ছোট খাটো প্ল্যাটফর্ম বানিয়ে ফেলতে পারেন।

বিভিন্ন ফ্যানপেইজ তৈরী করতে পারেন, ফানি ভিডিও কিংবা মিম বানিয়ে পোস্ট করতে পারেন, অনলাইন শপিং এর জন্য গ্রুপ কিংবা পেইজ খুলতে পারেন, ফেসবুক গেম ডেভেলপ করতে পারেন, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সহ আরোও অসংখ্য পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি কম করে হলেও ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

এখন আমি আপনাদের সামনে কিছু মাধ্যম বা পদ্ধতি তুলে ধরবো যেগুলোর মাধ্যমে ফেসবুকে প্রতিদিন ৫০০ টাকা আয় করা যায় –

ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম

আপনি যদি ফেসবুক পেজ থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে প্রথমে ফেসবুকে একটা একাউন্ট খুলতে হবে, তারপর সেই একাউন্ট থেকে ফেসবুক পেজ ক্রিয়েট করতে হবে। পেজ ক্রিয়েট করার পর সেটাকে সুন্দর করে কাস্টমাইজ করতে হবে, যাতে ভিউয়ারসরা আপনার কন্টেন্টের উপর আকৃষ্ট হয়।

এরপর থেকে নিয়মিতভাবে ভিডিও বা আপনার কন্টেন্ট আপলোড করা শুরু করতে হবে, প্রতিদিন অন্তত ১ টা বা ২ টা ভিডিও বা কন্টেন্ট আপলোড করতেই হবে। অতঃপর ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের রিকুয়ারমেন্ট পূরণ করার চেষ্টা করুন, তারপর ফেসবুক পেজ মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন।

ফেসবুক মনিটাইজেশন হয়ে গেলে ফেসবুকের এডগুলো আপনার ভিডিও বা কন্টেন্টগুলোতে সংযোগ করুন। আপনার কন্টেন্ট মনিটাইজেশন করার পর ব্যাংক একাউন্টের পেমেন্ট এড্রেসটি সংযোগ করে দিবেন।

এরপর থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার ফেসবুক কন্টেন্টের দ্বারা প্রতিদিন ঘন্টা প্রতি ওয়াচ টাইম বা ভিউয়ারসের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। 

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং কাজ করার জন্য যা যা প্রয়োজন

ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন

মানুষ এখন এতটাই আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়েছে যে সবকিছুতেই শর্টকার্ট খুঁজে এবং ঘরে বসেই সেবা পেতে পছন্দ করে। তার জন্য সবাই সামাজিক মাধ্যমগুলোর উপরই বেশি নির্ভর করে থাকে, যার ফলে এটা আপনার জন্য একটা মুখ্য সুযোগ হতে পারে নিজেকে তাদের সামনে মূল্যবান এবং উপকারী বলে প্রমাণ করার।

আপনি চাইলে তাদের কাছে আপনার পন্যের মার্কেটিং টা ফেসবুকের দ্বারা ঘরে বসেই করে ফেলতে পারেন, অন্যদিকে তারাও ঘরে বসেই ফেসবুকের মাধ্যমে আপনার পন্য সম্পর্কে জানতে পারলো।

আবার আপনি চাইলে আপনার পন্যের ক্রয়-বিক্রয়ের কাজটাও ঘরে বসেই করে ফেলতে পারেন। কিন্তু এইসব করার আগে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর নিম্নোক্ত তিনটি দিক ভালো মতো নজরে রেখে মেইনটেইন করতে হবে। সেগুলো হলোঃ – 

  • ফেসবুক পেজঃ পন্যের মার্কেটিং এর কাজ সম্পন্ন করতে হলে উক্ত পন্য সম্পর্কিত একটা প্রফেশনাল পেজ থাকতে হবে যেটাকে আপনি অফিসিয়াল বিজনেস পেজ হিসেবে রাখবেন। যাতে মানুষ আপনার পন্যের সঠিক অবস্থান এবং প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারে এবং আপনার পন্যের উপর আস্থা রাখতে পারে।
  • ফেসবুক গ্রুপঃ ফেসবুকের গ্রুপগুলোতে অনেক মানুষই নিজের মন্তব্য বা তাদের ব্যবহৃত পন্য সম্পর্কে বিভিন্ন রিভিও বা ফিডব্যাক দিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে আপনিও আপনার পন্য সম্পর্কিত একটা গ্রুপ খুলে ফেলতে পারেন, এতে করে আপনি আপনার গ্রাহকদের মন্তব্য গুলো ফলো করে তাদের চাহিদা মতো পন্য সরবরাহ করতে পারেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহন করতে পারেন। এটা আপনার জন্য লাভজনক হতে পারে।
  • ফেসবুক অ্যাডঃ ফেসবুক অ্যাডের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পন্যের গ্রাহক খুঁজে পাবেন। আপনি কোন ধরণের গ্রাহক চান, তাদের বয়স কত হবে, তারা কোন শহরের বাসিন্দা হবে, কোন দেশের নাগরিক হবে এবং তারা উক্ত পন্যগুলো কিনতে ইচ্ছুক কিনা সহ সব ধরণের কাস্টমাইজ করে আপনি আপনার পন্যে অ্যাড সংযোগ করতে পারেন।

এই তিনটি দিক থেকে যেকোনো একটার যদি অনুপস্থিতি পাওয়া যায় তাহলে আশানুরূপ ফলাফল নাও পেতে পারেন। আর যদি এই তিনটি দিকই ভালোভাবে মেইনটেইন করে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়, তাহলে ফেসবুক মার্কেটিং কেন করবেন না, বলুন? 

আরো পড়ুনঃ কিভাবে Facebook এ একটি অনলাইন ব্যবসা শুরু করবেন

ফেসবুক থেকে আয় করার উপায়

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুকে প্রতি সেকেন্ডে পাঁচটি করে নতুন একাউন্ট ক্রিয়েট হচ্ছে। সুতরাং এর চেয়ে বড় প্লাটফর্ম বোধহয় আর নেই যেখান থেকে আপনি কোনো ইনভেস্ট ছাড়াই ইনকাম করার সুযোগ পাবেন।

এখান থেকে আপনি আপনার অডিয়েন্স বেছে নিতে পারেন, তাদেরকে ব্যবহার করে আপনার ব্যবসা থেকে শুরু করে যেকোনো ধরণের কাজ হাসিল করে নিতে পারেন।

আপনাকে শুধু যেটা করতে হবে সেটা হলো তাদের মন জুগিয়ে চলা এবং তাদের আনন্দ দেওয়া বা এন্টারটেইন করা। তার পাশাপাশি এটারও খেয়াল রাখা যাতে তাদের উপকার হয় এমন কিছু কন্টেন্ট আপনি তাদেরকে দিতে পারছেন এবং তারা সেটাকে পজিটিভ্লি নিচ্ছে।

এছাড়াও আরও যেভাবে ফেসবুক থেকে ইনকাম করা যায় তার মাধ্যমগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরা হলোঃ-

অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং বা মার্কেটিং

অনেকেই অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং এর কথা শুনে থাকতে পারেন আবার অনেকের কাছেই এটা একটা নতুন শব্দ। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর নাম শুনেছি কিন্তু অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং টা আবার কি? মনে প্রশ্ন জাগতে পারে। আসলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এবং অ্যাফিলিয়েট এডভারটাজিং দুটো একই জিনিস।

“এডভারটাইজিং হলো আমরা যখন ফেসবুকে নিউজ ফিডে স্ক্রোল করার সময় বিভিন্ন এড দেখতে পাই এবং সেই এডের নিচে ছোট্ট করে (Sponsored) লিখা থাকে ওটাকেই মূলত অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং বলে”।

আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং কোর্স

অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং করার জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হলো

আপনাকে প্রথমে অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং এর প্রোগ্রাম খুঁজতে হবে, তারপর সেখানে সাইন আপ করতে হবে। সাইন আপ করার পর আপনি পেয়ে যাবেন একটি ইউনিক আইডি এবং তার সাথে বিভিন্ন এডভারটাইজিং সম্পর্কিত মেটারিয়ালস এন্ড টুলস। এসব বিভিন্ন ইউজারদের মাধ্যমে আপনার একাউন্টে টাকা জমা হতে থাকবে।

অ্যাফিলিয়েট এডভারটাইজিং

প্রোগ্রামের জন্য আলাদা আলাদা আইডি খুলতে ভুলবেন না, কারণ একেকটি এডের জন্য আলাদা আলাদা আইডির প্রয়োজন। এতে করে আপনার আয়ের কাজটা খুব দ্রুত ভাবে সম্পন্ন হয়ে যাবে এবং ইউজাররা নিজের পছন্দ মতো বিজ্ঞাপনগুলো খুঁজে নিতে পারবে।

আপনার এড মানুষ যতবার দেখবে ততোবারই আপনার আয় হতে থাকবে। তাই এডের বিষয়টাকে প্রাধান্য দিতে হবে যেন আপনার পোস্টে ক্লিক করে অ্যাফিলিয়েটের কোনো কিছু কেনা মাত্রই আপনি ইনকাম করা শুরু করে দিতে পারেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

ও এক ধরণের বিজ্ঞাপন পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পন্যের প্রচারণা ও বিক্রয় বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন ব্লগার, সেলিব্রেটি বা ইনফ্লুয়েন্সারদের কমিশনের বিনিময়ে হায়ার করে থাকেন। তাদেরকে দিয়ে গ্রাহকদের নিকট উক্ত কোম্পানির পন্যগুলোকে হাইলাইটেড করানো হয় এবং সেগুলোকে কেনার জন্য সাজেস্ট করা হয়।

এতে করে গ্রাহকরা যখন সেই পন্যগুলো ক্রয় করে তখন কোম্পানি থেকে উক্ত ক্রয়কৃত পন্যের বাজার মুল্য হতে নির্দিষ্ট পরিমাণের একটা কমিশন সেই ব্লগার, সেলিব্রেটী বা ইনফ্লুয়েন্সাররা পেয়ে থাকেন।

আরো পড়ুনঃ ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং কি? এদের মধ্যে পার্থক্য

ফেসবুকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করার মতো কিছু অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রামের লিস্ট নিচে দেওয়া হলো

অনলাইন বা ফেসবুক বিজনেস  

“আপনি চাইলে ফেসবুকেও অনলাইন শপ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন। শপটি যেকোনো ধরণের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের হতে পারে। যেমন – জুয়েলারি, কসমিউটিক্স, কাপড়, হ্যান্ডি ব্যাগ, ঘড়ি, জুতা, ঘড় সাজানোর আসবাবপত্র ইত্যাদি।

কিন্তু তার জন্য আপনাকে ফেসবুকে পেজ বা গ্রুপ খুলতে হবে যাতে আপনার অডিয়েন্সরা আপনার পন্য সম্পর্কে সব সময় অবগত থাকে। প্রতিদিন আপনার পন্যের কালেকশন এবং মান সম্পর্কিত ছবি (ডিটেইলস) সহ উক্ত পেজ, আইডি বা গ্রুপে আপলোড দিতে হবে। এতে গ্রাহকরা পন্য ক্রয়ের ব্যাপারে উৎসাহিত হবে।

পেমেন্টের ক্ষেত্রে অনলাইনে পেমেন্ট এবং ক্যাশ অন ডেলিভারী পেমেন্টের ব্যবস্থাও রাখতে পারেন। এতে আপনার পন্য সম্পর্কে গ্রাহকদের আস্থা তৈরি হবে।”

“আবার আপনি চাইলে ফেসবুকের কোনো অনলাইন শপে সেলসম্যান হিসেবেও কাজ করতে পারেন। ফেসবুকে বিভিন্ন কোম্পানি তাদের পন্য অনলাইনে বিক্রি করে থাকে, সেক্ষেত্রে তারা অনলাইনে এমন কিছু লোক নিয়োগ দিয়ে থাকে যারা সেল বাড়াতে সাহায্য করবে এবং ক্রেতাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তাদেরকে পন্যগুলো কিনতে উৎসাহিত করবে।”

ফেসবুক অ্যাপ

প্রোগ্রামার, ওয়েব ডিজাইনার এবং গেম ডেভেলপারদের জন্য ফেসবুক এক অনন্য সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দিয়েছে। ফেসবুকের জন্য বিভিন্ন অ্যাপ তৈরি করলে সেটার ব্যবহারকারীদের উপর আপনার আয় নির্ভর করবে। এভাবে আপনি ফেসবুকে গেম ডেভেলপ করেও আপনার আয় করার রাস্তাটা নিশ্চিত করে ফেলতে পারেন।

ফেসবুকে গেম চালু হওয়ার শুরুর দিকে একটা কোম্পানির গেম খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেই কোম্পানির নাম হলো ‘জিংগা’ আর গেমটির নাম ছিলো ‘ফার্মভিল’। আপনিও চাইলে আপনার কোনো ডেভেলপড করা গেমকে ‘জিংগা’ – ‘রোভিও পপক্যাপ’ নামক কোম্পানিগুলোর সাহায্যে ফেসবুকে্র প্ল্যাটফর্মে আপলোড করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং আয়

একাউন্ট ফর সেল

যারা নতুন নতুন ফেসবুকে ব্যবসা শুরু করতে চায় তারা অনেক সময় পুরাতন জনপ্রিয় একাউন্টের খোঁজ করে থাকে কেনার জন্য। এতে করে তাদের অডিয়েন্সের জন্য কষ্ট করতে হয়না। তারা সহজেই এবং খুব তাড়াতাড়ি তাদের ব্যবসা শুরু করে দিতে পারে।

আপনার যদি মনে হয় যে – আপনার পেজ বা একাউন্টের অনেক জনপ্রিয়তা রয়েছে, অনেক ফলোয়ার বা মেম্বার আছে, অনেক লাইক-কমেন্ট-ভিউ আসে এবং লোকজন আপনার পোস্ট বা কন্টেন্ট পছন্দ করে, তাহলে আপনি এই একাউন্ট টা বিক্রি করে দিতে পারেন আপনার পছন্দের দামে। 

কেনা-বেচা   

আপনার বাসার পুরোনো ফোনটা ঠিক করতে করতে ক্লান্ত? এখনই বেচে দিন ফেসবুকে। এই রকম পুরোনো জিনিস ক্রয়-বিক্রয় করার অনেক গ্রুপ এবং পেজ আপনি পেয়ে যাবেন ফেসবুকে। সেখানে আপনার পুরোনো কোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস বিক্রি করে দিতে পারেন যেটা অন্য কারোর জন্য প্রয়োজনীয় তার কাছে।

তার জন্য আপনাকে বেশি কিছু করতে হবে না, শুধু যে জিনিসটা বিক্রি করতে চান সেটার একটা ছবি তুলে তার সম্পর্কে ছোট্ট করে বিবরণ দিয়ে আর সাথে মূল্যটা বসিয়ে সেই গ্রুপে আপলোড দিয়ে দিবেন। ব্যাস… যার পছন্দ হবে সে আপনাকে কমেন্টে জানাবে বা ইনবক্স করবে তারপর ডিল অকে হলে লেনদেনের কাজটা সেরে ফেলবেন।

বিঃ দ্রঃ লেনদেনের সময় কাস্টমার এবং লেনদেনের মাধ্যম সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।