SEO (Search Engine Optimization) যেটাকে বাংলায় উচ্চারণ করলে হয় এস ই ও অর্থাৎ ‘সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন’। এটা সর্বপ্রথম পরিচিতি পায় ১৯৯০ সালে এবং এর কার্যক্রম শুরু হয় ১৯৯৬ সাল থেকে যখন Larry Page & Sergey Brin বিশ্বের প্রথম সফল সার্চ ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন। তাদের মাধ্যমেই বিশ্বে প্রথম একটি ওয়েবসাইট তৈরি হয় এবং এরপরে একে একে আরো কয়েকটি ভিন্ন ভিন্ন কনটেন্ট ভিত্তিক ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে আসতে শুরু করে।
বর্তমানে যাকে আমরা Google নামে চিনি, সেই গুগলের প্রথম নাম ছিলো Backrub, যেটাকে পরবর্তীতে পরিবর্তন করে Google রাখা হয়। এই গুগলও অনেক আগেই বুঝে গিয়েছিলো SEO সম্পর্কে। তাই অনেক আগে থেকেই এসইওর জন্য সার্চ ইঞ্জিন এলগরিদম নিয়ে কাজ করতে শুরু করে দেয় গুগল। যেন তারা ইউজারদের প্রশ্নের ফলাফল সঠিক তথ্য আকারে ইউজারের সামনে নিয়ে আসতে পারে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৬৫% শতাংশেরও বেশি ইন্টারনেট সার্চ গুগল থেকে হয়ে থাকে, কারণ সেরা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন হিসেবে গুগলই পুরো বিশ্বের মধ্যে সুপরিচিত।
অর্থাৎ এসইও হলো এমন একটি পদ্ধতি – যে পদ্ধতির মাধ্যমে ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেইজের র্যাংক নাম্বার এবং ইউজারদের সার্চ করা বিষয়ে সঠিক তথ্য দেখানো হয়, সেই সাথে সমস্ত ওয়েবসাইটের জন্য সার্চ ইঞ্জিনকে ফ্রেন্ডলিভাবে অপটিমাইজ করার কার্যক্রমগুলো খুব ভালোভাবে সম্পন্ন করে সেই ওয়েবসাইটকে সর্বোচ্চ র্যাংকিং এ রাখতে সাহায্য করে।
আজকের এই এসইও সম্পর্কিত ব্লগটিতে এসইও কিভাবে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন এবং বিশেষ করে Google, Yahoo, Bing এর জন্য বিভিন্ন ওয়েবপেইজের ভিজিবিলিটি বাড়াতে সাহায্য করে তা বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হবে। এই ব্লগটি নতুনদের জন্য সহজ এবং কার্যকরী কিছু এসইও বৈশিষ্ট্য ও কৌশল সম্পর্কে জানানো হবে যেগুলো তারা খুব সহজেই বুঝতে পারবে।
যারা যারা এই আর্টিকেল টি পড়ছেন তাদের বেশির ভাগই হয়তো এসইও সম্পর্কে জানেন না, তারপরও ধরে নিলাম যে আপনাদের এসইও এবং সাধারণ ওয়েব টেকনোলোজি সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে, যেমন – Style Sheet, HTML, XHTML ইত্যাদি। আপনি যদি ইতোমধ্যে কোনো ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকেন বা সেখানে কাজ করে থাকেন তাহলে এই ব্লগটি এসইও সম্পর্কে পুরোপুরি ধারণা পেতে আপনার জন্য বোনাস হিসেবে কাজ করবে।
এসইও সম্পর্কে ৫০,০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল লিখলেও এসইওর ইতি টানা যাবেনা, কারন এর পরিধি এতোটাই গভীর যে সেটা ১ টা কেন ২০ টা বা ৩০ টা আর্টিকেলেও লিখে শেষ করা যাবে না। কিন্তু আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের এমন কিছু ব্যসিক বিষয় এবং টেকনিক নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলোর জানার মাধ্যমে আপনারা এসইও সম্পর্কে মোটামুটি ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন। যেমনঃ
- সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্টে আসা একটি ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি, স্পীড বা উক্ত ওয়েবসাইটের ভিতরের খুঁটিনাটি কিভাবে চেক করা যায় সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে একটি ওয়েবসাইটের কোয়ালিটি, ট্রাফিক ও ভলিউম বৃদ্ধি করা যায়, সে সম্পর্কে জানতে পারবেন।
- কিভাবে সার্চ এলগোরিদম গুলো কাজ করে এবং মানুষ কী কী ধরণের প্রশ্ন লিখে সার্চ করতে পারে সেগুলো জানার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন। যেমনঃ ফ্রিল্যান্সিং কি? এসইও কী? ফ্রিল্যান্সিং এর ভবিষ্যৎ কেমন? ইত্যাদি।
এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর একটি অংশ বা পার্ট। এসইও কে আবার এসইও কপিরাইটিং হিসেবেও বিবেচনা করা যায়, কারণ সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের প্রচারণার জন্য বেশির ভাগ যে টেকনিক ব্যবহৃত হয় সেগুলো মূলত কনটেন্ট বা লিখাকে কেন্দ্র করে হয়ে থাকে এবং সেই লিখার সাথেই প্রতিযোগিতা চলে।
তাই আপনি যদি ব্যসিক এসইও নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে সেই বিষয়ে অন্তত ব্যসিক জ্ঞানের প্রয়োজন পড়বে। আসুন তাহলে জেনে নিই, সার্চ ইঞ্জিন কিভাবে কাজ করে।
সার্চ ইঞ্জিন যেভাবে কাজ করে –
সার্চ ইঞ্জিন এর কাজ হলো, ইউজারদের দ্বারা সার্চ করা টেক্সট, শব্দ, বাক্য, প্রশ্ন কিংবা কীওয়ার্ডের সঠিক ও প্রাসঙ্গিক উত্তর বা তথ্য খুঁজে বের করা। এবং খুঁজে বের করা উক্ত তথ্যের উৎস হিসেবে বিভিন্ন পেইজ বা ওয়েবসাইটের তালিকাকে নিজের Search Engine Result Page এর মধ্যে দেখানো। এটাই হলো একটি সার্চ ইঞ্জিনের কাজ।
সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা তথ্যের ফলাফল প্রদানের জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম ব্যবহার করার প্রয়োজন হয়। সেগুলো হলো –
- ক্রলিং (Crawling) – একটি ওয়েবসাইটের সাথে লিংকযুক্ত সমস্ত ওয়েব পেজ আনার প্রক্রিয়াই হলো ক্রলিং। এই কাজটি একটি সফ্টওয়্যার দ্বারা সম্পাদিত হয়, যাকে বলা হয় ক্রলার বা মাকড়সা। এটা কেবল Text, Link এবং URL নিতে পারে। এটাকে সাধারণত ক্রলার (মাকড়সা) এবং গুগলের ক্ষেত্রে Googlebot ও বলা হয়ে থাকে।
- ইন্ডেক্সিং (Indexing) – ইন্ডেক্সিং হলো একটি ওয়েবসাইটের কানেক্টেডকৃত সকল পেইজগুলোকে একটি সূচীর মাধ্যমে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া এবং সেই সাথে সেগুলোকে একটি বিশাল ডাটাবেজে সেইভ করে রাখা, যাতে ভবিষ্যতে সেখান থেকে যেকোনো ধরণের পেইজ বা তথ্য পুনরুদ্ধার করা যায়। অর্থাৎ, ইন্ডেক্সিং এর মূল প্রক্রিয়া হলো একটি পেইজের শব্দ এবং ভাবমূর্তিগুলোকে চিহ্নিত করা যা সেই পেইজটিকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে তুলে ধরে এবং কিছু নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড দ্বারা আবদ্ধ করে। অথবা সহজ কথায় – “সার্চের জন্য কিছু লিখার সময় লেখা (Query) গুলোর সাথে search engine ইন্ডেক্সের সংরক্ষন করা ডেটাবেজের যে তথ্য মিলে যাওয়ার কারণে যা যা প্রদর্শিত হতে থাকে তাই ইন্ডেক্স”।
- প্রসেসিং (Processing) – যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো তথ্য জানার জন্য সার্চ করে তখন সার্চ ইঞ্জিন সেটাকে প্রক্রিয়া করার মাধ্যমে তাকে সঠিক ফলাফল প্রদানের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। অর্থাৎ এটি সার্চের অনুরোধে অনুসন্ধানকৃত স্ট্রিংটিকে ডাটাবেজের সূচীকৃত পেজগুলোর সাথে তুলনা করে থাকে।
- ক্যালকুলেটিং রিল্যাভেন্সি (Calculating Relevancy) – একটি পেইজেই যে সার্চ স্ট্রিং রয়েছে এমনটা কিন্তু নয়, এরকম আরো অসংখ্য পেইজে একাধিক সার্চ স্ট্রিং থাকতে পারে। তাই সার্চ ইঞ্জিন তার সূচীর প্রতিটি পেইজের সার্চ স্ট্রিং এর প্রাসঙ্গিকতা গণনা করে থাকে।
- রিট্রেইভিং রেজাল্টস (Retrieving Results) – সার্চ ইঞ্জিন কার্যক্রমের শেষ ধাপ হলো ম্যাচ করা সবচেয়ে ভালো ফলাফলগুলো পুনরুদ্ধার করে সেগুলোকে সাজানো। এটা মূলত সার্চ করা তথ্য গুলোকে ব্রাউজারে ডিসপ্লে করা ছাড়া আর সেরকম কিছুই না।
গুগল এবং ইয়াহু’র মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে প্রতি মাসে একাধিক বার প্রচুর পরিমাণে সিস্টেম পরিবর্তন এবং রিলেভেন্সি এলগোরিদম আপডেট করা হয়। তাই আপনি যখন আপনার র্যাংকিং এর পরিবর্তন দেখতে পাবেন তখন বুঝে নিবেন ওইগুলো এলগোরিদমিক পরিবর্তন বা আপনার নিয়ন্ত্রনে নেই এরকম কিছুর কারনে হচ্ছে।
যদিও আসলে সার্চ ইঞ্জিন অপারেশনের মূলনীতি গুলো সব একই। রিল্যাভেন্সি এলগোরিদমের মধ্যে ছোটোখাটো পার্থক্যই ফলাফলের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়।
এসইও কপিরাইটিং কি?
যে লেখার মাধ্যমে কোনো পন্যের বিজ্ঞাপন কিংবা মার্কেটিং এর জন্য আগ্রহ তৈরির উদ্দেশ্যে স্ক্রীপ্ট বা মৌখিক কথাগুলোকে শব্দ আকারে লিখা হয় তাকে কপি রাইটিং বলে।
এসইও কপিরাইটিং হলো ওয়েবপেইজে এমন ভাবে লিখার একটি কৌশল – যেভাবে লিখলে নির্দিষ্ট সার্চ টার্মগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে সারফার সেটা ভালো ভাবে পড়তে পারে। এসইও কপিরাইটিং এর একমাত্র উদ্দেশ্য হলো লক্ষ্যকৃত সার্চ টার্মগুলোর জন্য সার্চ ইঞ্জিনে সর্বোচ্চ র্যাংক তৈরি করা।
ভিউয়েবল টেক্সটের পাশাপাশি এসইও সাধারণত টার্গেটেড সার্চ টার্মগুলোর জন্য অন্যান্য অন-পেইজের উপাদানগুলোকেও অপ্টিমাইজ করে থাকে। যেমন – কীওয়ার্ড ট্যাগ, হেডিং, ডিস্ক্রিপশন, টাইটেল এন্ড অলটারনেটিভ টেক্সট।
এসইও কপিরাইটিং এর পেছনের মূল ধারণাটি হলো- সার্চ ইঞ্জিন শুধু প্রকৃত বা জেন্যুইন পেইজগুলোকেই চায়, অতিরিক্ত যে এডিশনাল পেইজগুলো আছে যেগুলোকে ‘Door Way Page’ বলা হয় এবং যেগুলোকে শুধুমাত্র হাই র্যাংকিং এর জন্য বানানো হয়ে থাকে সেগুলোকে সার্চ ইঞ্জিন চায় না।
সার্চ ইঞ্জিন র্যাংক কি?
Google বা Bing কেউই কিন্তু নিজে থেকে কোনো প্রশ্নের উত্তর বানিয়ে প্রদর্শন করতে পারেনা। তারা শুধু কীওয়ার্ড ভিত্তিক রিলিভেন্ট প্রশ্নের উত্তরগুলো প্রদর্শন করে। যখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু লিখে বা প্রশ্ন করে সার্চ দেয় তখন এর ফলাফলস্বরুপ ডাটাবেজে সংরক্ষিত থাকা অসংখ্য উক্ত তথ্য সম্পর্কিত প্রশ্নের হাজার হাজার উত্তর প্রদর্শিত হয়। সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলের উপর প্রদর্শিত পেইজ গুলোর অবস্থানের উপর নির্ভর করে উক্ত পেইজের র্যাংকিং।
যদি সার্চ ইঞ্জিনে কোনো কিছু লিখে সার্চ দেয়ার পর আপনার পেইজটিকে প্রথমে দেখায় তাহলে বুঝে নিবেন যে আপনি র্যাংকিং নাম্বারের দিক দিয়ে প্রথম স্থানে আছেন। আপনার এই পেইজটিকে সর্বোচ্চ র্যাংকিং এ আছে বলে ধরে নেওয়া হবে।
অর্থাৎ এসইও হলো কোনো ওয়েবসাইটকে ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট করে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উচ্চতর র্যাংকিং নাম্বার পাওয়ার প্রক্রিয়া।
এসইও কত প্রকার এবং কী কী?
গুগল সরাসরি না বললেও অনেক এক্সপার্টদের মতে, এই এসইওকে অনেকগুলো ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। তবে কিছু কিছু এক্সপার্টরা এসইওর এই প্রধান তিনটি ভাগকে নিয়ে বেশি আলোচনা করে থাকেন। যেগুলো হলো – অন পেইজ এসইও, অফ পেইজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও।
ধারণাগত দিক থেকে দেখা গেলে অপটিমাইজেশনের জন্য দুইটি উপায় রয়েছে। সেগুলো হলো অন-পেইজ এসইও এবং অফ পেইজ এসইও।
১। অন-পেইজ এসইওঃ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে অন পেইজ এসইও যতো ভালো হবে গুগলে র্যংকিং নাম্বার ততো বেশি হবে। একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েবপেইজের জন্য অন পেইজ এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন পেইজ এসইও তে যে মূল বিষয়গুলো থাকে সেগুলো হলো –
- H1, H2, H3 Tag ব্যবহার করা।
- ভালো কনটেন্ট প্রদান করা এবং কনটেন্ট অনুযায়ী ভালো ট্যাগ ব্যবহার করা।
- ভালো কীওয়ার্ড নির্বাচন করা এবং কীওয়ার্ডকে সঠিক জায়গায় রাখা।
- প্রতিটি ইমেজে অল্টার ট্যাগ ব্যবহার করা এবং প্রতিটি পেইজে উপযুক্ত টাইটেল ব্যবহার করা ইত্যাদি।
২। অফ-পেইজ এসইওঃ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে অফ পেইজ এসইও আপনার ওয়েবসাইটের কোনো কনটেন্টের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত নয়, যেমন – Backlink.
ওয়েবসাইটের অথারিটি বাড়ানোর ক্ষেত্রে Backlink বিশাল ভূমিকা পালন করে। এই Backlink এর মাধ্যমে এক ওয়েবসাইট অন্য ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক বা যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে, যা র্যাংকিং বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত জরুরী। অফ পেইজ এসইওতে যে মূল বিষয়গুলো থাকে সেগুলো হলো –
- লিংক বিল্ডিং করা।
- ওপেন ডিরেক্টরিস সাবমিটের মাধ্যমে পপুলার হওয়া।
- লিংক এক্সচেইঞ্জ করা।
- সার্চ ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করা ইত্যাদি।
৩। টেকনিক্যাল এসইওঃ অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের কনটেন্ট এবং ব্যাকলিংকের জন্য টেকনিক্যাল এসইওর তেমন কোনো দরকার বা প্রয়োজন পড়ে না। এটা মূলত নির্ভর করে ওয়েবসাইটের স্পীডের উপর। আপনি যদি ভালো ওয়েব হোস্টিং ব্যবহার করে থাকেন তাহলে আপনাকে টেকনিক্যাল এসইও নিয়ে ভাবতে হবে না।
তো এই ছিলো আজকের এস ই ও – এসইও কি? (০১) সম্পর্কে আমাদের প্রাথমিক আলোচনা। এসইও সম্পর্কে আমাদের আরোও পর্ব রয়েছে, সেগুলো পড়তে এসইও ক্যাটাগরিতে ক্লিক করে সবগুলো আর্টিকেল পড়ে আসুন।