টাইটেল অপটিমাইজেশন কি?
এসইও টাইটেল অপটিমাইজেশন বলতে মূলত টাইটেল ট্যাগ অপটিমাইজেশনকেই বুঝানো হয়েছে। যার অর্থ হলো মূল কিওয়ার্ডটি কন্টেন্টের হেডিং বা শিরোনামে থাকা। একটা উদাহরণের মাধ্যমে বুঝানো যাক-
“ধরুন, আমি একটি আর্টিকেল লিখছি রূপচর্চা বিষয়ক কোনো পদ্ধতির উপর, যেমন – How to Get rid of Oily Skin? হলো আমার আর্টিকেলের নাম এবং Oily Skin হলো আমাদের মূল কিওয়ার্ড। আসল ব্যাপারটা এখানেই। আমি যদি আমার আর্টিকেলের হেডিং কিংবা শিরোনামে মূল কিওয়ার্ডটা বসিয়ে সার্চ দেই তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে সবার প্রথমেই আমার আর্টিকেলটি দেখতে পাবো। আর যদি আর্টিকেলের হেডিং এ মূল কিওয়ার্ডটা না বসাই তাহলে আমার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে কখনোই ঠিকঠাকভাবে র্যাংক করবে না”।
তখন দেখা যাবে, আপনি যে আর্টিকেল খোঁজার জন্য সার্চ করবেন সেটা প্রথমে না এসে আসবে অন্যটা। যেমন – আপনি সার্চ করেছেন How to Get rid of Oily Skin? তার রেজাল্ট হিসেবে সবার প্রথমে আসলো How to Get rid of Pimples, Dark Spot, Dark Circle? ইত্যাদি। আপনি আপনার ওয়েবসাইটের অন্য যেকোনো ধরণের অপটিমাইজ করেন বা না করেন, টাইটেল অপটিমাইজ করতে যেন ভুল না হয়। কারণ কন্টেন্ট বা আর্টিকেলকে র্যাংকিং এ সর্বোচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে হলে মূল কিওয়ার্ডকে সবসময় কন্টেন্টের হেডিং এ রাখা একান্ত অপরিহার্য।
একটি ওয়েবপেইজের বা আর্টিকেলের হেডিং লিখার সময় যে তিনটি বিবেচ্য বিষয় মাথায় রাখতে হয় সেগুলো নিম্নরুপঃ
১। কন্টেন্ট বা আর্টিকেলের হেডিং লিখার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যেন হেডিং টি সর্বোচ্চ ৯ টি শব্দ বা সর্বোচ্চ ৬০ টি অক্ষর বিশিষ্ট হয়। কারণ এর বেশি শব্দ বা অক্ষর নিলে র্যাংকিং করানো কষ্টসাধ্য হতে পারে।
২। হেডিং এর একেবারে শুরুর দিকেই মূল কিওয়ার্ডটিকে রাখার চেষ্টা করুন।
৩। হেডিং এ আপনার কোম্পানি, প্রতিষ্ঠানের নাম বা নিজের নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, যদিনা আপনার প্রতিষ্ঠান বা আপনার কোম্পানি খুব বেশি পরিচিত হয়ে থাকে।
অর্থাৎ এসইও এর ক্ষেত্রে হেডিং এর উপযুক্ত ব্যবহারই পারে গুগলে ভালো ফলাফল আনতে। অপ্রয়োজনীয় এবং অনুপযুক্ত কিওয়ার্ডস কখনোই আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ভালো রেজাল্ট আনবে না। আপনি আপনার ওয়েবপেইজের সাথে রিলেটেড ও মানানসই যতো বেশি কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন ততোই আপনার ওয়েবসাইট ছোঁয়াচে রোগের মতো ছড়াতে থাকবে।
সঠিক টাইটেল তৈরি করার জন্য সেরা কয়েকটি টিপসঃ
ওয়েবপেইজে কন্টেন্ট বা আর্টিকেলের জন্য সঠিক টাইটেল তৈরি করার জন্য কিছু অনুশীলন রয়েছে, যেগুলো ফলো করলে আপনি খুব সহজেই একই টপিকের উপর নিত্য নতুন টাইটেল তৈরি করতে পারবেন। টিপসগুলো নিম্নরুপঃ
১। টাইটেল লিখার ক্ষেত্রে ইউনিক নাম রাখার চিন্তা করতে হবে, যেন আপনার কন্টেন্টের হেডিং টা যে কাউকে আকৃষ্ট করতে পারে।
২। যদি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেইজকে সুন্দরভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করতে চান তো সবগুলোর হেডিং এ উক্ত ওয়েবসাইটের Primary Keyword বা Phrase উল্লেখ করতে পারেন।
৩। হোম পেইজের টাইটেলগুলোর প্রথম অংশ Primary Keyword Phrase দিয়ে শুরু করুন এবং বাকি অংশগুলো সেই রিলেটেড Secondary Keyword Phrases দিয়ে শেষ করে দিন।
৪। আপনার কন্টেন্ট বা আর্টিকেলের হেডিং এর জন্য Primary Keyword Phrase এর সাথে রিলেটেড বিভিন্ন ধরণের স্প্যাসিফিক ভ্যারিয়েশন নিয়ে আসতে হবে।
৫। আপনি যদি চান আপনার কোম্পানির নাম বা আপনার নাম কন্টেন্টের হেডিং এ রাখতে। তাহলে হেডিং এর শেষে রাখতে পারেন যদি আপনি বা আপনার কোম্পানি খুবই জনপ্রিয় হয়ে থাকে তো, অন্যথায় দরকার নেই।
৬। WordTracker কি বলছে তার উপর ভিত্তি করে আপনার হেডিং এর জন্য কিওয়ার্ড ফর্মে এক বা একাধিক শব্দ ব্যবহার করুন।
৭। হেডিং এর মধ্যে মূল কিওয়ার্ডের পুনরাবৃত্তি সর্বোচ্চ ২ থেকে ৩ বার করা যাবে, এর বেশি নয়। তবে একবারই যথেষ্ট, কেননা অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না।
৮। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পেইজ বা আর্টিকেলের টাইটেল ট্যাগ <title> টি <head> সেকশনের প্রথম অংশে আছে কিনা। কারণ এটা গুগলকে খুব সহজ এবং তারাতারি খোঁজে বের করতে সাহায্য করে।
তো এই ছিলো আজকের এস ই ও – টাইটেল অপটিমাইজেশন পর্ব (০৮) এর বিস্তারিত আলোচনা। পরের পর্বটি পড়ার অনুরোধ রইলো, ধন্যবাদ।