এস ই ও - রিল্যাভেন্ট ফাইল নেইমস - Bhairab IT Zone

আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন

এসইও – রিল্যাভেন্ট ফাইল নেইমস এর ক্ষেত্রে আপনি যখন আপনার কোনো ফাইলকে সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করাতে চাইবেন, তখন আপনি সবচেয়ে সহজতম পদ্ধতিগুলোর মধ্যে একটি ব্যবহার করতে পারেন, আর সেটা হলো আপনার ফাইলগুলোর নামকরণ কিভাবে করবেন সেটার একটা পারস্পেক্টিভ বা দৃষ্টিভঙ্গি।

এসইওর ক্ষেত্রে আমি যেটা লক্ষ্য করেছি সেটা হলো ফাইল-নেইম কে বেশির ভাগ সার্চ ইঞ্জিনই খুব গুরুত্বের সাথে দেখে। এমনকি গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনও ফাইল নেইম কে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই টিউটোরিয়াল টি লিখার আগে ফাইল-নেইম সম্পর্কে আমি রিসার্চ করে যতটুকু জেনেছি সেটা হলো আপনি আপনার ওয়েব পেইজে কি দিতে চান আগে সেটা ঠিক করুন, তারপর সে অনুযায়ী ফাইলটির একটা নাম দিন। তারপর দেখবেন আপনার ওয়েব পেইজটি খুব দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাংক করতে শুরু করে দিয়েছে।   

আপনার যদি বিশ্বাস করতে কষ্ট হয় তাহলে আপনি গুগলে গিয়ে সার্চ ইঞ্জিনে যেকোন একটি কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করুন, তারপর দেখবেন সেই কীওয়ার্ড রিলেটেড হাইলাইটেড করা ফাইলগুলোর লিস্ট দেখতে পাবেন। এটার থেকে এটাই প্রমাণ হয় যে ফাইল নেইমের জন্য উপযুক্ত কীওয়ার্ড থাকাটা অত্যন্ত জরুরী।  

(File Naming Style) ফাইল নেইমিং স্টাইলঃ

  • ফাইলের নামটিকে ছোট হতে হবে এবং এর অর্থটাকেও বিবরণমূলক হতে হবে।  
  • পেইজের টাইটেল এবং ফাইল নেইমের কীওয়ার্ড সবসময় একই রাখলে ভালো হয়। 
  • জেনেরিক টাইপের নাম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন, যেমনঃ ‘company.htm’ বা ‘production.htm’ আপনার ফাইলের প্রকৃত কাজের সাথে সম্পর্কিত এমন নাম ব্যবহার করুন, যেমনঃ online-marketing-help.htm 
  • সব সময় খেয়াল রাখবেন আপনার ফাইলে যেন সর্বোচ্চ ৩ থেকে ৪ টা শব্দ বা কীওয়ার্ড থাকে, এর বেশি যেন না থাকে। তবে ২ টি হলে ভালো হয়। 
  • আপনার ফাইলের কীওয়ার্ডকে আলাদা করার জন্য হাইফেনের ব্যবহার করুন, আন্ডারস্কোরের নয়। 

ব্যবহারকারীর দৃষ্টিভঙ্গি এবং এসইওর দিক থেকে আদর্শ হবে এমন কিছু ফাইল নেইমের তালিকাসমূহ নিম্নে উদাহরণের মাধ্যমে দেওয়া হলোঃ-  

bhairab-it-zone.html

online-marketing-help.html

computer-repairing-shop.html

training-center-for-beginners.html 

উপরোক্ত নামগুলোই Google ভালো ভাবে দেখে। কারণ এতে (, . ? _ ) এর মতো আন্ডারস্কোর ব্যবহার করা হয়নি। 

এসইও-রিল্যাভেন্ট-ফাইলনেইম (যেমন এটা একটা আদর্শ ফাইল নেইমিং স্টাইল)

(File Extension) ফাইল এক্সটেনশনঃ 

.html, .htm, .php এগুলো মূলত আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটরদেরকে ঠিকঠাক ভাবে সার্ভার কনফিগারের কিছু কাজ অফলোড করার মাধ্যমে নির্দেশনা প্রদান করে, এছাড়া আর তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু না। এগুলো এবং অন্য যেকোনো এক্সটেনশনই হোক না কেন সেগুলোর কোনো কিছুই ভিজিটরদের কোনো কাজে আসে না। মোটকথা, আপনি আপনার সাইট ভিজিটরদের দ্বারা ওয়েবসার্ভারকে বলতে বলছেন যে – কোন পেইজটি তৈরি করতে হবে এবং কোনটি নয়। 

অনেকে ওয়েব এক্সপার্টসরা মনে করে থাকেন যে, এক্সটেনশন ব্যবহার না করে ফাইল নেইম ব্যবহার করলে হয়তো বেশি উপকার পাওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, এটা সামান্য আকারে সাহায্য করলেও পুরোপুরি ভাবে অধিকমাত্রায় সাহায্য করে না।  

(URL Sub-Directory Name) URL সাব-ডিরেক্টরি নেইমঃ 

সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যদি দেখা হয় তাহলে URL Sub-Directory Name এতো টাও গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি চাইলে আপনার সার্চ বারে যেকোনো কীওয়ার্ড লিখে সার্চ করতে পারেন, তার ফলাফলস্বরুপ আপনি আপনার কীওয়ার্ডের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ কোনো সাব-ডিরেক্টরি নেইম ই খুঁজে পাবেন না। কারণ এটা এতোটাও ম্যাটার করে না। আবার ইউজার’স পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখলে অন্তত একটা সর্ট সাব-ডিরেক্টরি নেইম না রাখলেই নয়।  

(Guru Mantra) গুরু মন্ত্রঃ 

আপনার ফাইলগুলোর নামকরণ করার আগে নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর কথা মাথায় রাখবেন – 

  • সবার আগে আপনি আপনার ফাইলের যে নাম রাখতে যাচ্ছেন সেটা যেন খুব ছোট এবং এর অর্থটা যেন ফাইল সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা করতে পারে সেরকম ক্যাটাগরির নাম রাখুন, সেই সাথে নামটা যেন আপনার কনটেন্টের সাথে প্রাসঙ্গিক হয় সেটার কথাও মাথায় রাখুন। 
  • আপনার ফাইলে সর্বোচ্চ থেকে টি কীওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করুন, এর বেশি নয়। অতঃপর উক্ত কীওয়ার্ডগুলো যেন আপনার ফাইলের Heading এ অবশ্যই উপস্থিত থাকে সেটাও মাথায় রাখুন। 
  • কীওয়ার্ড আলাদা করার সময় হাইফেনের (-) ব্যবহার করুন, আন্ডারস্কোর (, _ ” : ; ) দিয়ে আলাদা করা থেকে বিরত থাকুন।  
  • আপনার ফাইলের সাইজকে 101k এর নিচে রাখুন, কেননা Google উক্ত সাইজের বেশি হলে সেগুলোকে কেটে দেয়। 
  • Sub – Directory নামটাকে সব সময় ছোট রাখার চেষ্টা করুন। 

তো এই ছিলো আজকের এস ই ও – রিল্যানভেন্ট ফাইল নেইমস (০৪) এর সংক্ষিপ্ত আলোচনা। সবগুলো SEO সম্পর্কে সবগুলো পর্বের পড়া চালিয়ে যেতে পরের আর্টিকেলটিতে যান।