আজকের এই আর্টিকেলে আমরা জানবো এসইও – অপটিমাইজড এংকোর টেক্সট সম্পর্কে। এংকোর টেক্সট কী? কত প্রকার ও কী কী? কীভাবে এর ব্যবহার করতে হয়? এর ব্যবহার কতোটা গুরুত্বপূর্ণ ইত্যাদি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
এংকোর টেক্সট কি?
এংকোর টেক্সট হলো হাইপারলিঙ্কের ভিজিবল এবং ক্লিকেবল টেক্সট যেগুলো সাধারণত নীল রঙের হয়ে থাকে। তবে সবসময়ই যে নীল রঙের হবে তা কিন্তু নয়, মাঝে মধ্যে অন্য রঙেরও হয়ে থাকতে পারে কারণ এর রঙ পরিবর্তন করা যায়। এংকোর টেক্সটের একটা উদাহরণ হলো – এসইও কী?
এংকোর টেক্সটের প্রকারভেদ ও ব্যবহারঃ
এসইও স্পেশালিষ্টদের একেক মতামত থাকায় কেউ এংকোর টেক্সটকে ৮ ভাগে ভাগ করেছেন তো কেউ ৬ ভাগে। আবার কেউ কেউ তারও বেশি। তবে একটি ওয়েবসাইট চালানোর জন্য যতগুলো এংকোর টেক্সট যথেষ্ট এবং প্রয়োজন সেগুলোর সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ –
১। Branded – এটা অতিরিক্ত কোনো অর্থ ছাড়াই এংকোর টেক্সট বলতে শুধু ব্র্যান্ডের নিজের নামকেই বোঝায়। এটাকে সাইটেশনের ক্ষেত্রে সরাসরি কোনো ওয়েবসাইটে লিঙ্ক করে দিলে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।
যেমন – ভৈরব আইটি জোন এ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং কোর্সে ভর্তি চলছে।
২। Brand + Keyword – এই ধরণের কীওয়ার্ড এংকোর টেক্সটের সাথে অতিরিক্ত হিসেবে উক্ত ব্র্যান্ডের প্রেইজ বা কীওয়ার্ডকেও সংযুক্ত করে।
যেমন – ভৈরব আইটি জোন – ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টার থেকে স্বল্পমূল্যে কোর্স এনরোল করে আপনিও হতে পারেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার।
৩। Exact Match – যখন কোনো এংকোর টেক্সট টার্গেটেড কীওয়ার্ডের সাথে হুবুহু মিলে যায় তখন সেটাকে Exact Match বলে।
যেমন – “seo courses” links to a page about SEO Courses.
৪। Partial Match – এটার মানে হলো টার্গেটেড কীওয়ার্ডটি অর্ধেক বা পুরোপুরিভাবে এংকোর টেক্সটের সাথে অন্যান্য শব্দ যোগ করার মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত হওয়া। যেমন – “social media marketing service” links to a page about Social Media Marketing.
একটা উদাহরণ দেওয়া যাক – ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানটি “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সার্ভিস” দিয়ে থাকে’। এখানে Partical Match এংকোর টেক্সট হলো “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সার্ভিস” আর টার্গেটেড কীওয়ার্ড হলো “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং”।
৫। Related Keywords – এটার দ্বারা কোনো ব্র্যান্ডের মূল কীওয়ার্ডকে বারবার ব্যবহার না করে উক্ত কীওয়ার্ডের পরিবর্তে অন্য কোনো কীওয়ার্ড ব্যবহার করাকে বুঝানো হয়েছে, যেটার অর্থ সরাসরি মূল কীওয়ার্ডকে নির্দেশ করে।
যেমন – “অফ-পেজ এসইও সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে আমাদের পেইজটি ফলো করুন”। [এখানে অফ-পেজ এসইও বলতে সরাসরি লিঙ্ক বিল্ডিং কেই বুঝানো হয়েছে]। অর্থাৎ, অফ- পেজ এসইও যা লিঙ্ক বিল্ডিংও তা।
৬। Naked Link – একটি URL যখন এংকোর টেক্সট হিসেবে ব্যবহৃত হয় তখন তাকে Naked Link বলে।
যেমন – https://bhairabitzone.com/
৭। Generic – জেনেরিক এংকোর টেক্সট কোনো ধরণের কীওয়ার্ড ব্যবহার করে না। এটা সাধারণ শব্দকেই এটা লিঙ্কেবল করে থাকে।
যেমন – আরোও দেখুন, আরোও জানুন, Learn More, Click here. ইত্যাদি।
৮। Images – যখন একটি ইমেজকে লিঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করা হয় তখন গুগল ঐ ইমেজের Alt Text এ যা লেখা থাকে, তাকেই এংকোর টেক্সট হিসেবে বিবেচনা করে।
যেমন – ইমেজ Alt Text – bhairab it zone – graphics design course.
কিভাবে এংকোর টেক্সটকে অপটিমাইজড করা যায়?
অনেক ধরণের এংকোর টেক্সট সম্পর্কে তো জানা হলো, এখন চলুন এংকোর টেক্সটকে অপটিমাইজড করার জন্য যা যা করতে হয় সে সম্পর্কে জানি –
- এংকোর টেক্সট বা টাইটেলকে যতোটুকু সম্ভব সংক্ষিপ্ত রাখা।
- যে পেইজের সাথে লিংকিং করেছেন সেটাকে উক্ত পেইজের সাথে প্রাসঙ্গিক রাখা।
- কীওয়ার্ড স্টাফড না করা।
- ওভার অপটিমাইজড করা থেকে বিরত থাকুন।
- পাশের ওয়ার্ডের প্রতি মনোযোগ দেওয়া, এংকোর টেক্সটের সাথে সেটা খাপ খাচ্ছে কি না।
- Alt টেক্সটের ইস্যুগুলো ঠিক করা।
এংকোর টেক্সটের গুরুত্বঃ
এংকোর টেক্সট বা টাইটেল কতোটুকু লম্বা হবে বা ছোট হবে তার উপর কোনো ধরাবাধা নিয়ম নেই। তবে আপনার জন্য একটা পরামর্শ থাকবে যে, সর্বোচ্চ ৪-৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যেই আপনার এংকোর টেক্সটটিকে সীমাবদ্ধ রাখুন। কারণ এংকোর টেক্সট যত ছোট হবে ততোই রিডারের জন্য ভালো।
এংকোর টাইটেল সার্চ ইঞ্জিনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন থাকে। তাই সব সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে এংকোর টাইটেলে উপযুক্ত কীওয়ার্ডগুলো ব্যবহার করা হয়। এতে করে সাইট ভিজিটরদের সঠিক তথ্য দেখাতে সহজ হবে।
এংকোর টেক্সটের আরোও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যেটাকে খুব সতর্কতার সাথে সিলেক্ট করা উচিত, কেননা এটা শুধু সার্চ ইঞ্জিনই না বরং ন্যাভিগেশন উদ্দেশ্যেও ব্যবহার হয়ে থাকে।
এসইও এর ক্ষেত্রে কোনো পেইজে কিংবা আর্টিকেলে এংকোর টেক্সট বা টাইটেল হিসেবে Click here, Learn more, আরোও জানুন, এখানে ক্লিক করুন ইত্যাদির উপস্থিতি থাকাটা নিতান্তই বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, কারণ এগুলো না থাকলে উক্ত কন্টেন্টের এসইও কে দুর্বল এসইও বলে গন্য করা হয়।
তো এই ছিলো আজকের এস ই ও – অপটিমাইজড এংকোর সম্পর্কে পর্ব (০৯) এর বিস্তারিত আলোচনা। এসইও এর পরবর্তী আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইলো, ধন্যবাদ।