ওয়েবসাইট ডিজাইন এবং লে’আউট এই দুটো জিনিসই সর্বপ্রথম যেকোনো সাইটের জন্য ভালো একটা ইম্প্রেশন ক্রিয়েট করে। এমনও কিছু ফ্যান্সি এবং রেগুলার নেট সার্ফাররা রয়েছেন যারা অনেকগুলো ওয়েবসাইটে পৌঁছানোর পরও সেখান থেকে বের হয়ে আসেন, সেটাও আবার ঐ ওয়েবসাইটগুলোতে কোনোরকম ক্লিক না করেই।
সার্চ ইঞ্জিনগুলো যতই স্মার্ট হোক না কেন, তারা কিন্তু সফটওয়্যারই। মানুষের মতো করে কখনোই তারা পারফেক্টলির সাথে অন্য আরেকটা মানুষের আগ্রহের বিষয়সমূহ পড়তে পারবে না। তাই আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটটিকে খুব বেশি ভারী এবং কমপ্লিকেটেড করে তুলেন তাহলে সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোকে ঠিকঠাক ভাবে (Parse) পার্স করতে পারবে না, অতঃপর (Indexing) ইন্ডেক্সিংও কাজ করবে না। যার ফলাফল আসবে (Low-Rank) লো র্যাংক।
মেইন পেইজের কনটেন্টের কীওয়ার্ডের পরিমাণ কমপক্ষে ১০ শতাংশ হওয়া উচিত এবং শব্দের সংখ্যা হওয়া উচিত প্রায় ২০০ শব্দেরও বেশি। কিন্তু এসইও এক্সপার্টদের এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মতামত রয়েছে। তাদের অনেকই বলে থাকেন যে, কীওয়ার্ডের পরিমাণ কমপক্ষে ৫ শতাংশ হওয়া উচিত, আবার কেউ বলেন যে ২০ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন্তু আপনি যদি ১০ শতাংশও ধরে রাখতে পারেন তাহলে সেটাই হবে আপনার জন্য যথেষ্ট।
একটি সুন্দর, সাবলীল ও রুচিসম্মত ওয়েবসাইট তৈরি করার আগে যে দিকগুলো সর্বপ্রথম বিবেচনা করা প্রয়োজন সেগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ –
- আপনার ওয়েবসাইটে HTML এলিমেন্টস এর চেয়ে Text কনটেন্টস এর পরিমাণ বেশি রাখতে হবে।
- Ads ব্যবহার করার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকুন, কারণ বেশির ভাগ এডসের মধ্যেই Java – Script ব্যবহার করা হয়, যা কখনোই ব্যবহার করার জন্য অনুমোদিত নয়।
- আর যদি প্রয়োজনের খাতিরে Java – Script ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে এইচটিএমএল ফাইলে কোড ডাম্প না করে বাহ্যিক কোনো ফাইল থেকে কল করুন। নাহলে Java – Script ড্রপ ডাউন মেনু আপনার (Spiders) স্পাইডারকে হোমপেইজের বাইরে (Crawling) ক্রলিং করতে বাঁধা দিবে।
- Frame এবং Search Engine এ দুটোই একে অপরের শত্রু। তাই এদের দুটোকে কোনো ভাবেই একসাথে ব্যবহারের কথা চিন্তাও করবেন না।
- আপনার পেইজের মধ্যে এমন কোনো কিছু রাখবেন না যেটা আপনার টপিক বা কনটেন্টের সাথে পুরোপুরি খাপ খায় না।
- যতটা সম্ভব আপনার ফাইল গুলোকে রুটের কাছাকাছি রাখুন এবং অপ্রয়োজনীয় ডিরেক্টরিজ ব্যবহার করা থেকে দূরে থাকুন।
- খুব বেশি প্রয়োজন না হলে আপনার পেইজে কোনো রকমের ফ্যান্সি বা ভারী স্টাফ ব্যবহার করার দরকার নেই। যেমন – Flash, Splash, Animated Gifs, Rollovers ইত্যাদি।
উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে একটা ওয়েবসাইটের ডিজাইন ও লে’আউট তৈরি করলে খুবই দ্রুততার সাথে ভালো ফলাফলের আশা করা যেতে পারে। এস ই ও – ডিজাইন এন্ড লে’আউট (০৫) – এর এই পর্বে আশা করি আপনাদের ওয়েবসাইটের জন্য পেইজ ডিজাইন বা লে’আউট নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।